নিজস্ব প্রতিবেদক, দ্য টাইমস নিউজ বিডি: ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের যে ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে তা নতুন শিক্ষাক্রমে ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক ছাড়া) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। সেটি করা হচ্ছে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হওয়ার ভয়ে। কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। এসব বিষয় আমাদের শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের ক্লাসেরও অংশ নয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, অতীতে আমাদের শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ফাঁকে বিনোদনের জন্য তাদের অংশগ্রহণে এসব ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। যা একটি বিশেষ গোষ্ঠী ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে অপপ্রচার করতে নতুন করে এসব ভিডিও তৈরি করছে।

সন্তানদের প্রায়োগিক শিক্ষার উপযোগী করে গড়তে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে দীপু মনি বলেন, আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তির জগতের জন্য প্রস্তুত করতে আমাদের সন্তানদের প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করেও গড়ে তুলতে হবে। তারা যাতে উদ্ভাবন করতে পারে, তাদের মধ্যে সেই মনোভাব তৈরি করতে হবে। সে অনুযায়ী নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের ৮ শতাধিক বিশেষজ্ঞ জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা একদিনে তৈরি করা হয়নি। আমরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। এখানে পরিবর্তন-পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে। আগামী ১-২ বছরে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম পৌঁছে দিতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটা যুগ পার করে এসেছি, যেখানে পরীক্ষার হল থেকে বের হলেই অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করতেন কয়টা প্রশ্ন কমন পড়েছে? যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেশি কমন প্রশ্ন বলে দিতে পারতেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সেরা বলা হতো। আমরা সেই মুখস্তনির্ভর পড়া থেকে বের হতে চাই।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও পাঠাভ্যস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম লিডার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

দ্য টাইমস নিউজ বিডি