দ্য টাইমস নিউজ বিডি ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের একটি জাহাজে জলকামান ছোড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ছোড়া হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
নৌবহরে থাকা ‘মিকেনো’ নামের জাহাজের অধিকারকর্মী মুহাম্মদ হুজেফে কুকুকায়তেকিন জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সামরিক জাহাজটি প্রায় ১০ মিনিট ধরে তাদের জাহাজ অনুসরণ করে। পরে কাছে এসে জাহাজ ও কর্মীদের সামগ্রীতে জল ছুড়ে ভিজিয়ে দেয়।
ভিডিওতে কুকুকায়তেকিন বলেন, ‘আমাদের জাহাজ এবং সব সামগ্রী ভিজে গেছে। তারা প্রায় ১০ মিনিট পানি ছুড়েছে। ইসরাইলি বাহিনী আমাদের ইঞ্জিন বন্ধ করতে বলে। কিন্তু আমরা যাত্রা চালিয়ে গেছি। তবে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছেন। নারী কর্মীদের কেউ কেউ কঠিন অবস্থায় আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের হাত তুলতে বলে। ১০–১২ মিনিট পর তারা সরে যায়।’
ভিডিওতে জাহাজটির নাম ‘মিকেনো’ দেখা যায়। রয়টার্স নিশ্চিত করেছে, ওই জাহাজ থেকেই কুকুকায়তেকিন আগেও লাইভ ভিডিও প্রচার করেছিলেন। প্রতিটি ভিডিও ক্লিপে তার কণ্ঠস্বর শোনা গেলেও এগুলো কখন ও কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে বাকি সব জাহাজ ইতিমধ্যে ইসরাইল আটক করেছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা বৈধ নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে।’
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর বৈশ্বিক উদ্যোগ। এই বহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ জনের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা।
এই নৌবহরের প্রথম বহর যাত্রা শুরু করে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে। পরে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও কিছু নৌযান যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কয়েকটি নৌযান বহরে যুক্ত হয়ে গাজামুখী ত্রাণ যাত্রায় অংশ নেয়।-পিএনএস
দ্য টাইমস নিউজ বিডি