নিজস্ব প্রতিবেদক,দ্য টাইমস নিউজ বিডি: পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একে একে ৯টি বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন তিনি। বাড়িওয়ালার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নাজমুল হক (৩০)। তিনি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আশিক ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে শিবগঞ্জের দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়ি ভাড়া নিতে যান গ্রেপ্তার নাজমুল হক। তখন তিনি নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই হিসেবে পরিচয় দেন। বাসা ফাঁকা নেই বলে তাকে না করে দেন মঞ্জু। যাওয়ার সময় বাড়ির মালিকের মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে যান নাজমুল। পরে ওই নম্বরে ফোন করে ১০ হাজার টাকা ধার চাওয়া হয়। এতে মঞ্জু শেখের সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করেন।
ওই তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে, নাজমুল হক নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোকামতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৪টি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়াও ওই এলাকার বিভিন্ন জনের কাছে তদবিরের নামেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। পরে কৌশলে পুলিশ তাকে আটক করে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আশিক ইকবাল দ্য টাইমস নিউজ বিডিকে বলেন, নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। ওই ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে মোকামতলাতে ৪টি ছাড়াও তার নিজ এলাকাতে আরও পাঁচটি বিয়ে করেছেন। তাকে আটকের পর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মঞ্জু শেখ বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
দ্য টাইমস নিউজ বিডি