লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি,দ্য টাইমস নিউজ বিডি: ভোলার লালমোহনে চলমান দাখিল পরীক্ষায় তিন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে না পারায় নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার লালমোহন থানায় তিন পরীক্ষার্থীর পক্ষ থেকে প্রতারণার মামলা করেন বাউরিয়া গ্রামের এক ছাত্রীর দাদা মোহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার এ অভিযোগ করেন তারই প্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন, সুমাইয়া, জান্নাত ও সোনিয়া।
শিক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিনের চাহিদা মতো রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ ও প্রবেশপত্রের ফিসহ সর্বমোট ১২ হাজার টাকা করে দিলেও তাদের নামে রেজিস্ট্রেশন ও এডমিট কার্ড আসেনি। গত বৃহস্পতিবার এসএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ওই শিক্ষার্থীদের হাতে অন্য তিন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় বসতে কেন্দ্রে পাঠান অধ্যক্ষ। তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে অন্যের নামে পরীক্ষায় বসলে প্রক্সি হবে এবং ধরা পড়লে জেল-জরিমানা হবে- এমন শঙ্কায় কেন্দ্রে ঢুকেনি ওই শিক্ষার্থীরা।
এমন ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন ওই শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন। পরে পরীক্ষা দিতে না পারায় ক্ষোভ ও অধ্যক্ষের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়ে থানার দ্বারস্থ হয় তারা। এই তিন ছাত্রীর হাতে যাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও এডমিট কার্ড দিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হয়েছে, সেই প্রকৃত পরীক্ষার্থীদেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমোহন থানার ওসি মাহবুব-উল-আলম দ্য টাইমস নিউজ বিডিকে বলেন, করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্য টাইমস নিউজ বিডি