দ্য টাইমস নিউজ বিডি ডেস্ক: ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে দাম্পত্যজীবন। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো— একে অপরের সম্মান, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া এবং প্রশংসা করা। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রতি তার গুণাবলি প্রকাশ, ভালোবাসার কথা জানানো এবং প্রশংসা করা, যা একজন স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে থাকে।
ইসলাম এ মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে। আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ রেখে গেছেন। তার জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই— তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তার স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই উঠে এসেছে।
হজরত খাদিজার (রা.) মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) এতবার প্রশংসা করেছেন যে, হজরত আয়েশার (রা.) মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ইর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) স্ত্রীদের মাঝে খাদিজার (রা.) চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ইর্ষা করিনি। কারণ নবী (সা.) প্রায়ই তার কথা স্মরণ করতেন এবং তার প্রশংসা করতেন। (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশার (রা.) প্রশংসা করেও চমৎকার উদাহরণ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করে বলেছেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন— পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু নারীদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া ও ইমরানের কন্যা মরিয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হননি।
তবে আয়েশার মর্যাদা সব নারীর ওপর এমন যে, সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাবার) মর্যাদা সব প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এ হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তার জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত ও চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি নবী কারিম (সা.) সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে নিয়ে আসে বিশ্বাস, প্রশান্তি আর ভালোবাসা।-পিএনএস
দ্য টাইমস নিউজ বিডি