1. admin@thetimesnewsbd.com : admin : M. Lutfar Rahman
  2. rahmansakib257@gmail.com : Lutfar Rahman : Lutfar Rahman
  3. payel.itcs@gmail.com : Mahmudur Rahman Payel : Mahmudur Rahman Payel
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী ৭ হাজার পরিবার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
  • ৪৯ দেখেছেন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, দ্য টাইমস নিউজ বিডি: কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, মোগলবাসা, ঘোগাদহ ও ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলেও ১ হাজারের বেশি পরিবার পানি বন্দী রয়েছে। ওই ইউনিয়নের মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব চরে বসবাসকারী পরিবারগুলো পড়েছে চরম দুর্ভোগে। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করছে। বেশ কিছু পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। তবে এ পরিবারগুলো রাতের বেলা নিজ ঘরের উঁচু মাচানে অবস্থান করছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও নতুন নতুন চর প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়ে পানিবন্দী পরিবারগুলোর শুকনো খাবারের প্রয়োজনের কথা জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, বাড়ির চারিদিকে পানি, বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে পারছি না। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ২-১ দিনের মধ্যে ঘরের ভেতর পানি চলে আসবে। বর্তমানে বড় সমস্যা হচ্ছে গরু ছাগলদের নিয়ে। তাদের খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নের চারটি ওর্য়াডের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আনুমানিক ৩ হাজার পরিবার হবে। বর্তমানে তাদের সমস্যা হচ্ছে যোগাযোগ। এ ছাড়া তাদের গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তারা।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, কয়েক দিন ধরে নদ-নদীর পানি বাড়ায় তাঁর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের বাড়ির চারিদিকে পানি ঠিকমত বের হতে পারছে না। বর্তমানে তাদের সমস্যা হচ্ছে চলাচল ও গবাদিপশু নিয়ে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদুল হাসান বলেন, কোনো চেয়ারম্যান তো এখনো আমাকে তালিকা দেননি। তবে পানিবন্দীর পরিসংখ্যান এতো হতে পারে না। তারপরেও আমরা প্রস্তুত আছি যেকোনো প্রয়োজনে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, আগামী শনিবার (২৪ জুন) পর্যন্ত প্রধান নদ-নদীগুলোর পনি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

দ্য টাইমস নিউজ বিডি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো সংবাদ..
এই সংস্থা্র ওয়েব সাইটে প্রকাশিত যে কোন সংবাদ (The World Times Bd) এর যথাযথ তথ্যসূত্র (রেফারেন্স) উল্লেখ পূর্বক যে কেউ ব্যবহার বা প্রকাশ করতে পারবেন। দ্য ওয়ার্ল্ড টাইমস বিডি ।
Theme Customized BY Themes Seller.Com.Bd